তুমি আমার স্পার্ক কে বলে তুমি নেই — তুমি এখনও আমার ডিএনএ-র ডিজাইন কোডে জ্বলছো, চোখের রেটিনায় খোদাই করে রয়েছ। সব ডিসিশনের মুলে, অবচেতন মনে, ভাবনার শক্তিতে, হ্যাঁ, তুমি ওই মানুষ— যার হাতে সদর দরজার তালা খুলে যেত, একটা নিছক বিকেল কে ভালোবাসায় মেখে রাখত তুমি ওই বিশ্রামহীন হাত, তুমি কাঁধে দায়িত্ববোঁধ, চোখে কিছু না-বলা, হিমালয় স্নেহ নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা দেয়াল। তুমি ওই বিশ্বাস — যে নিজের নতুন জামা ফেলে আমার ট্রফির পাশে দাঁড়িয়ে বলতো, “এটাই তো আমার প্রাইজ।” যে নিজের অবসরের মানে বুঝতো নতুন যুদ্ধ— সোনার দোকানের কাউন্টারে তুমি সোনা বেচতে না, তুমি বিশ্বাস আর স্বপ্ন বুনতে! তোমার ভালোবাসা ছিল না-বলা চা কাপের ভাঁজে, ঘুমহীন রাতের কান্না চেপে-রাখা চোখে, একটা ছায়া যার ছায়াও আমায় আগলে রাখে। তুমি ছিলে শক্তির ইঞ্জিন, বিশ্বাসের ব্যাটারি, ভয়ডরের বিপরীতে একটা বাবা। তোমার আদর্শ— Netflix-er সিরিজ না, জীবনের রাফ্টার, যেখানে আমি পা রাখি, আর পড়ি না। তুমি একটা রাগে নরম মানুষ, যার হঠাৎ রেগে যাওয়া মানে ছিল— "তুই সাবধান থাকিস, তুই ভালো থাকিস, তুই বাঁচিস!" তুমি সেই নিঃশব্দ শক্তি, যে বলে না, করে—...